রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি বাসের দুই চালক ও দুই হেলপারকে আটক করেছে র্যাব-১।
সোমবার চারজনকে আটক করার বিষয়টি র্যাবের এক বার্তায় জানানো হয়। র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেমও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার দুপুরে দুর্ঘটনাটির পর রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে হোটেল র্যাডিসনের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ঘেঁষে রাস্তার বাঁ-পাশে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর ওপর উঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রতিবাদে তখন বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আজও সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে পুলিশের বাধায় তা প্রথমে পণ্ড হয়ে যায়। পরে হঠাৎ করে হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের সামনের রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে বসে পড়েছে তারা।শিক্ষার্থীদের হাতে বিচারের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড, ফ্যাস্টুন রয়েছে। এসবে লেখা রয়েছে ‘ছাত্র হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘চলার পথটা যদি বিপজ্জনক হয় তাহলে দেশ সামনে এগোবে কী করে’, ‘বাস নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ড্রাইভিং বন্ধ করুন’, ‘ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা’ ইত্যাদি।
শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে আদমজী স্কুল, কুর্মিটোলা শাহীন, বিএফ শাহীন, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে এই এলাকা এখন শুধু শিক্ষার্থীদের দখলে।